Header Ads

Breaking News
recent

আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের ম্যাচটা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত

দীর্ঘ প্রস্তুতির পর কেউই আশা করেনি, শুরুটা হবে এমন! প্রতিপক্ষ যখন আয়ারল্যান্ড, ৯ রানে কেন ২ উইকেট হারাতে হবে? শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেটা কোনো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি বাংলাদেশ দলের জন্য। কাল ওয়ালটন ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটা বৃষ্টিতে পরিত্যক্তই হয়ে গেছে! তার আগে শেষ হয়নি ম্যাচের এক ইনিংসও। ৩১.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৭ রান করেছিল বাংলাদেশ দল। দুই দলই পাবে ২ পয়েন্ট করে।
Tri nation series

ডাবলিনের এই ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের আশা বাড়িয়ে দিয়েছিল বেলফাস্টের প্রস্তুতি ম্যাচ। সেঞ্চুরিয়ান সাব্বির রহমানসহ সবার আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৯৯ রানের বিশাল জয় দেখে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই। আয়ারল্যান্ড আর সাসেক্সের ক্যাম্প মিলে সে কাজটা ভালোই হয়েছে।

কিন্তু কাল টস জিতে বল হাতে নিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত আনল আইরিশরা। সকালের ঝিরিঝিরি বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট পর। মালাহাইড ক্রিকেট ক্লাব মাঠের সবুজ উইকেটও হয়ে উঠেছিল আরেকটু পেসসহায়ক। আউট হওয়ার দুই বল আগে সৌম্য সরকার ডিপ পয়েন্ট দিয়ে পিটার চেজকে বাউন্ডারিতে পাঠালেও এই মিডিয়াম পেসারের বলই পরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য দুরূহ হয়ে ওঠে। শর্ট বলে সৌম্যকে কট বিহাইন্ড বানানোর পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১ রানের ব্যবধানে চেজ ফেরান সাব্বিরকেও। অবশ্য বোলারের যতটা না কৃতিত্ব, ওই আউটে তার চেয়ে বেশি ‘অবদান’ ব্যাটসম্যানেরই ছিল।

প্রস্তুতি ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পর অবসর নিয়েছিলেন। কাল তিন নম্বরে নেমে যেন সেখান থেকেই ব্যাটিং শুরু করতে চাইলেন সাব্বির! আউট হওয়ার আগে খেলা চেজেরই দুটি বলের কোনোটিতেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। তবু সাব্বির চেজকেই ‘চেজ’ করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে ক্যাচ। কী শট খেলতে গিয়েছিলেন, সেটা তিনি নিজেও জানেন কি না সন্দেহ।

দলের ৯ রানের মধ্যে সৌম্য-সাব্বিরের বিদায় কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। তামিম ইকবালের বদলে যাওয়া ব্যাটিংটা না থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারত আরও। অন্য প্রান্তের নড়বড়ে অবস্থা দেখে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট হলো সংযত, ওই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ইনিংস ঠিক এটাই দাবি করছিল তাঁর মতো অভিজ্ঞ আর ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে।

কিন্তু তামিম একা কী করবেন! আরও দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আর সাকিব আল হাসানও যে পারেননি তাঁকে যোগ্য সংগত দিতে। দুজনই আউট হয়েছেন বাজে শট খেলে।

৭০ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন ওপরের দিকের চার ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না। তবে বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাকি খেলায় সেই কঠিন কাজটাই করে দেখাচ্ছিলেন তামিম-মাহমুদউল্লাহ। অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের জুটি হয়ে গেছে ততক্ষণে। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাট হাতে তাঁদের আত্মবিশ্বাস দেখে মনেই হচ্ছিল না, ওই জুটিটা শুরুর আগ মুহূর্ত পর্যন্তও দারুণ দুঃসময় পার করছিল বাংলাদেশের ইনিংস।

সংযত ব্যাটিংয়েও তামিম আত্মবিশ্বাসী ছিলেন শুরু থেকে। ৭৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন ম্যাকার্থিকে স্ট্রেট ড্রাইভে চার মেরে। ওই ওভারেই এর আগে বাউন্ডারি ছিল আরও একটা। এর আগে চাপের মধ্যে টিম মারটাগকেও মেরেছেন পরপর দুই বাউন্ডারি। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে নামের পাশে ৮৮ বলে অপরাজিত ৬৪। আর মাহমুদউল্লাহর তো প্রথম স্কোরিং শটটাই ম্যাকার্থিকে চার মেরে। ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্ম ধরে রেখে প্রস্তুতি ম্যাচে করেছিলেন ৪৯। কালও তাঁর ব্যাটে ছিল সেই ধারা। ৫৬ বলে অপরাজিত ৪৩ রানে চার বাউন্ডারি। বাঁহাতি স্পিনার ডকরেলকে তাঁরই মাথার ওপর দিয়ে মেরেছেন বাংলাদেশের ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি।

তামিম-মাহমুদউল্লাহ মিলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংসটা কোথায় নিয়ে যেতে পারতেন, বৃষ্টির বাধায় সেটি আর দেখা যায়নি। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে পরিত্যক্ত হয়ে যায় ম্যাচ। ডাবলিন তখনো ভিজছিল বৃষ্টিতে।

No comments:

Powered by Blogger.