Header Ads

Breaking News
recent

মাটিরাঙার তবলছড়িতে আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা


শনিবার(৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ন'টার দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার তবলছড়ি ইউনিয়ের ২নং ওয়ার্ডস্থ সুরুজ সরদার পাড়া এলাকায় লাইস্র পাড়ার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ত্রিপুরা কিশোরী(১৩)কে শুকনাছড়ি সুরুজ সরদার পাড়ার সুরুজ মিয়া সরদারের ছেলে মো. শাকিব হোসেন ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, এ ব্যাপারে কেউ মাটিরাঙা থানায় অভিযোগ করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন, থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাহাদাত্‍ হোসেন টিটু।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. তাজুল ইসলামের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভিকটিমের বাবা। সোমবার সকালে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে বলেও জানা গেছে।

ভিকটিম'র সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার গণিত পরীক্ষা দিতে বান্ধবীদের সাথে স্কুলে যায় সে। তার কাছে ছিল মা'র দেয়া ৩০টাকা। টাকাগুলো সে হ্যান্ডবোর্ডের ক্লিপে রেখেছিল। যেতে যেতে হঠাত্‍ দেখে যে, ক্লিপে টাকা নাই। তাই সে টাকাগুলো খুঁজতে ফিরে যায়। পরীক্ষার সময় দেরী হয়ে যাবে বলে বান্ধবীরা তার সাথে না গিয়ে সোজা স্কুলে চলে যায়। টাকা খুঁজতে খুঁজতে সে একটা নির্জন এলাকায় পৌঁছলে হঠাত্‍ কী একটা শব্দ পেয়ে থমকে যায় সে। কিছু বুঝে না উঠতেই পিছন থেকে কে যেন তার চুলের মুঠি ধরে কোমরের বেল্ট টানতে শুরু করে। দেখে যে, ছেলেটি সুরুজ সরদারের ছেলে মো. শাকিব হোসেন। তখন সে ধস্তাধস্তি করতে করতে চিত্‍কার করে বলতে থাকে, 'তুমি সুরুজ সরদারের ছেলে শাকিব হোসেন, আমি তোমার বাবাকে বলে দেবো'। এ কথা বলতে শাকিব হোসেন মেয়েটির মুখ আর গলা চেপে ধরে মাটিতে ফেলতে চেষ্টা করে। কোমরের বেল্ট টেনে খুলে ফেলে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পাশে একটা খাড়া সেগুন গাছের নাগাল পেলে মেয়েটি গাছটিতে ভর করে ধাক্কা দিয়ে ছুটে পালিয়ে যায় স্কুলের দিকে। কেঁদে কেঁদে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী এক বাঙালি কী হয়েছে জিজ্ঞেস করেছিল। কিন্তু মেয়েটি কারোর ভরসা না পেয়ে কিছুই বলতে পারেনি। তারপর সে কোনোরকম পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফেরে বিকালে।

এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়ে কার্বারী(গ্রাম প্রধান) কলেন্দ্র ত্রিপুরার পরামর্শ নিতে গেলে কার্বারীসহ অনেকে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে মীমাংসা করতে পরামর্শ দেন। কার্বারীর পরামর্শে তবলছড়ি বাজারে গিয়ে মোকলেছ রাইটারের কাছে একটি দরখাস্ত লিখে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. তাজুল ইসলামের নিকট জমা দিয়েছেন। দরখাস্ত প্রাপ্তি স্বীকার করে মেম্বার জানান, দরখাস্তে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা বিষয়টি উল্লেখ নেই। বিষয়টিকে 'ইভটিজিং' বলে মন্তব্য করেছেন মেম্বার তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, দরখাস্তে লেখা আছে যে, শাকিব হোসেন শুধু গতিরোধ করে মেয়েটির হাত ধরেছিল এবং মেয়েটি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। সোমবার সকালে সালিশ করে সুস্থ বিচার করারও আশ্বাস দেন মেম্বার।

ভিকটিমের বাবা-মা জুমচাষী। পড়ালেখা জানেন না। দরখাস্ত লেখার পর তাঁকে পড়িয়ে শোনানো হয়নি বলে জানান ভিকটিমের বাবা। তিনি শুধু স্বাক্ষর করে সোজা মেম্বারের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে তিনি একটা নকল কপি হাতে রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন।

No comments:

Powered by Blogger.