Header Ads

Breaking News
recent

এইমাত্র পাওয়া: প্রচন্ড বিমান হামলা শুরু

এইমাত্র পাওয়া খবর, সিরিয়ায় শুরু হয়েছে প্রচণ্ড বিমান হামলা।  বিভিন্ন অবস্থানে রুশ বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১৮০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চালানো বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে কয়েক ডজন ভাড়াটে বিদেশী সন্ত্রাসী রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেংকভ এক বিবৃতিতে আজ (শনিবার) বলেছেন, দেইর আয-যোর প্রদেশের পূর্বে আবু কামাল শহরে দায়েশের একটি অবস্থানে বিমান হামলায় মারা গেছে ৪০ সন্ত্রাসী। এসব সন্ত্রাসী তাজিকিস্তান ও ইরাকের নাগরিক ছিল। এছাড়া ওই হামলায় ধ্বংস হয়েছে সন্ত্রাসীদের সাতটি গাড়ি যাতে ভারী মেশিনগান বসানো ছিল।

দেইর আয-যোরের কাছে মায়েদিন নামে আরেকটি শহরে রুশ বিমান হামলায় মারা গেছে ৮০ সন্ত্রাসী। এর মধ্যে উত্তর ককেশাস থেকে আসা নয় সন্ত্রাসী রয়েছে। এ হামলায় সন্ত্রাসীদের ১৮টি গাড়ি ও তিনটি গোলাবারুদের ডিপো ধ্বংস হয়।

দেইর আয-যোরের দক্ষিণে অন্য এক হামলায় মারা গেছে ৬০ জন বিদেশী ভাড়াটে সন্ত্রাসী। এরা সবাই এসেছিল রাশিয়া থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া মুসলিম দেশগুলো থেকে এবং তিউনিশিয়া ও মিসর হতে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে আমেরিকা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, "তার দেশের প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর পাশ্চাত্যের সীমাবদ্ধতা আরোপের চেষ্টা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না।"

তিনি মার্কিন সাময়িকী নিউজ উইককে দেয়া সাক্ষাতকারে ইসলামি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে অটুট রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু বোমা বহনযোগ্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তার দেশের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরমাণু সমঝোতার চেতনা লঙ্ঘন করেনি এবং এ অস্ত্র কেবল প্রতিরক্ষা কাজে ব্যবহৃত হবে।

এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ব্যাপারে সংলাপে বসতে রাজি আছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি রয়টার্সের ওই দাবিকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যায়িত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আমেরিকা বহুদিন ধরে কোনো না কোনো অজুহাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারা হাকাবি স্যান্ডার্স গতকাল (শুক্রবার) বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খুব শিগগিরি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে জবাব দেবেন। মার্কিন সরকারের দাবি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে ইরান পরমাণু সমঝোতার চেতনা লঙ্ঘন করেছে।

পরমাণু সমঝোতার প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু ওয়ারহেড স্থাপন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ কারণে ইরানের কর্মকর্তারা বহুবার বলেছেন, তাদের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে পরমাণু বোমা বহনযোগ্য করে তৈরি করা হয়নি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীও তার ধর্মীয় ফতোয়ায় পরমাণু বোমা নির্মাণ, মজুদ ও তার ব্যবহারকে হারাম বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ কারণে ইরানের প্রতিরক্ষা নীতিতে অপ্রচলিত অস্ত্রের কোনো স্থান নেই।

ছয় জাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার নীতিমালায় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপের কোনো কথাই বলা হয়নি। এমনকি ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে ইরানকে আলোচনায় বসতেও বাধ্য করা হয়নি। এ অবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে ইরানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার যে চেষ্টা আমেরিকা করছে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে জোর করে মার্কিন নীতি চাপিয়ে দেয়া এবং ইরানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে ধ্বংস করা।

বাইরের যে কারো হুমকি মোকাবেলায় প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর অধিকার সব দেশেরই রয়েছে। ইরানও এর ব্যতিক্রম নয়। ইরান নিজ প্রতিরক্ষা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার কাউকে দেবে না এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা নিয়ে যে ধ্বংসাত্মক খেলা শুরু করেছেন ইরান তাতে অংশ নেবে না। ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ে ইরান যৌক্তিক অবস্থানে রয়েছে। যে দেশগুলো নানা অজুহাতে ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে তারাই মূলত পরমাণু সমঝোতাকেও ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

দৈনিক ফিনানশিয়াল টাইমস এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে লিখেছে, ইরান যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ নিউজ উইককে দেয়া সাক্ষাতকারে আরো বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু সমঝোতা অনুযায়ী ইরানও নানা অপশন খোলা রেখেছে এবং আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলে তেহরানও পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।-পার্স টুডে

No comments:

Powered by Blogger.