Header Ads

Breaking News
recent

এল-ক্লাসিকোতে রিয়ালকে বিধ্বস্ত করলো বার্সা!

বার্সেলোনার ‘যিশু’একজনই। তিনি আর কেউ নন।লিওনেল মেসি।তিনি গোল করেন। গোল করান। তাঁর বাঁ পা হঠাৎ কথা বলে ওঠে। সেই পায়ের হদিশ পান না কেউ। মেসি জ্বলে উঠলে রোনালদোও স্তব্ধ হয়ে যান।

শনিবার এল ক্লাসিকোয় চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ব্যক্তিগত ডুয়েলটাও জিতে নিলেন মেসি। চলতি মাসের ৭ তারিখ ব্যালন ডি’অর জিতে মেসিকে ছুঁয়েছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। এদিন রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে গিয়ে রিয়ালকে ধ্বংস করে এল বার্সা।

বার্সা মেসির মতো একজনকে পেয়েছে বলেই রিয়ালের ঘরের মাঠে গিয়ে বুক বাজিয়ে জিততে পারে ক্যাটালান ক্লাব।এল ক্লাসিকোর শেষে তাই মেসির জয়গান সর্বত্র। ২৫ ডিসেম্বরের আগেই ক্রিসমাসের আমেজ এনে দিলেন মেসি।

এদিন প্রথমার্ধে মেসি তেমন উজ্জ্বল ছিলেন না। দ্বিতীয়ার্ধে অন্য অবতারে ধরা দিলেন বার্সার ত্রাতা।প্রথম হাফে রিয়ালের দাপট ছিল বেশি। বার্সার ডিফেন্স তখন রিয়ালের আক্রমণে কম্পমান। যে কোনও মুহূর্তে গোল করতেই পারত রিয়াল। দ্বিতীয় হাফে বদলে গেল ছবি।

নিখুঁত পাসিং ফুটবলের ফসলে লুই সুয়ারেজ এগিয়ে দেন বার্সাকে। এর পর কারভাহাল হাত দিয়ে বল থামান রিয়ালের পেনাল্টি বক্সের ভিতরে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। ২০১০ বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে এভাবেই হাত দিয়ে বল থামিয়েছিলেন লুই সুয়ারেজ। লাল কার্ড হজম করতে হয়েছিল সুযারেজকে। ঘানা অবশ্য পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেনি। এদিন মেসি কোনও ভুল করেননি। মেসি অবশ্য ভুল করেন না।

বার্সার তৃতীয় গোলটার সময়ে ১৯৯৪-এর ম্যারাডোনাকে মনে করিয়ে দিলেন বার্সার মহাতারকা। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে খেলার একেবারে শেষ লগ্নে নাইজেরিয়ার এক পাহাড়প্রমাণ সাইজের ডিফেন্ডারকে শরীরে নিয়ে ম্যারাডোনা ডিফেন্স ভেঙেছিলেন আফ্রিকার দেশটির। মারাডোনার ওই দৌড় থেকে গোল না এলেও তা সন্দেহ জাগিয়ে তুলেছিল ফিফার মনে। পরে ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়ে যান মেক্সিকো বিশ্বকাপের মহানায়ক। শেষ হয় এক যুগের।

এদিনও ঠিক ম্যারাডোনার মতোই মেসি ডান দিকের উইং ধরে বল নিয়ে দৌড়তে শুরু করলেন। খেলা তখন শেষ বাঁশির অপেক্ষায়। মার্সেলোকে সামনে দেখে ছিটকে বেরিয়ে গেলেন মেসি। তার পরে ঠিকানা লেখা পাস বাড়ালেন। সেই পাস থেকে গোল করলেন ভিদাল। গোলের গন্ধমাখা পাস বাড়ানোর আগে মেসি কিন্তু টাচলাইনের বাইরে যাওয়া থেকে বল বাঁচিয়েছিলেন।

যে ভাবে তিনি খেলায় ফিরিয়ে এনেছিলেন বল, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। অবশ্য এল ক্লাসিকো মানেই তো বিতর্ক। রিয়ালের সের্জিও র‌্যামোস লাল কার্ড দেখতেই পারতেন। বিশ্রী ভাবে তিনি ফাউল করেছিলেন সুযারেজকে। রেফারি সেই যাত্রায় হলুদ কার্ড দেখান র‌্যামোসকে।

রিয়ালও অবশ্য পেনাল্টি পেতে পারত। পেনাল্টি বক্সের ভিতরে বল হাতে লেগেছিল বার্সার ডিফেন্ডারের। রেফারি আরেকটু সাহসী হলে রিয়ালও পেনাল্টি পেত। 

No comments:

Powered by Blogger.