Header Ads

Breaking News
recent

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে তিন পার্বত্য জেলায় শিগগিরই যৌথ অভিযান চালাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী



অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে তিন পার্বত্য জেলায় শিগগিরই যৌথ অভিযান চালাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সেনা বাহিনীর সহায়তায় এই অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আই জি।
আঞ্চলিক দলগুলোর আধিপত্য বিস্তারের বিরোধকে কেন্দ্র করে পার্বত্য অঞ্চলে দুদিনের ব্যবধানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ছয় জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে এই যৌথ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সময় যতো গড়াচ্ছে, তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি যেন ততোটাই জটিল হয়ে উঠছে। শান্তি চুক্তির অন্যতম অংশীদার পার্বত্য জন সংহতি সমিতি যেমন ভেঙে দুভাগ হয়েছে। তেমনি চুক্তির মূল বিরোধীতাকারী ইউপিডিএফ ভেঙে দুভাগ হয়ে গেছে।
আঞ্চলিক দলগুলোর নেতৃত্বে চার ভাগ হলেও তৃনমূল পর্যায়ে বিভক্তি অনেক বেশি। চাঁদাবাজি এবং অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় এখন এসব উপ-গ্রুপের আয়ের প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে সাথে খুন এবং গুম তো রয়েছেই।
আর এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার জন্য প্রতিটি গ্রুপের কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র। বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলো প্রশাসনের কাছে।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা মাতব্বর বলেন, এখনই যৌথ অভিযানের সময়। একজন জনপ্রতিনিধিকে দিনে দুপুরে হত্যা করা কারোর কাম্য নয়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকা হিসাবে পরিচিত বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, মারিশ্যা এবং লংগদু এলাকায় দুর্বৃত্তরা অনেকটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আছে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার নানিয়ারচর এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হয় জন। এর আগের দিন একই এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান উপজেলা চেয়ারম্যান জেএসএস নেতা অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা।
অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান বলেন, আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে যে আত্মঘাতী সংঘাত শুরুর হয়েছে আমরা যেটাকে ভ্রাতৃঘাতীও বলি এটা আসলে খুব অনাকাক্ষিত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অধিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা বলেন, অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা অত্যন্ত জরুরি।
পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি আনসার, বিজিবি সেনাবাহিনী কাজ করে। তাই যৌথ অভিযানে প্রতিটি বাহিনীকেই সম্পৃক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আই জি।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আই জি . এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, অপরাধী অপরাধীই। সেটা রাজনৈতিক বা সামাজিক যে কারণেই হোক। এখানে আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান অব্যাহত রাখবো।
তবে গহীন অরণ্যের দুর্গম এলাকা হওয়ায় অভিযান চালাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে চরম বেগ পেতে হয়। আর এই সুযোগে পালিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।


No comments:

Powered by Blogger.