তামিমের শত রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪৮ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা বাংলাদেশের।
Bangladesh scorecard |
মাশরাফির নেতৃত্বে দুর্দান্ত এক জয় বাংলাদেশের। গায়ানায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও তামিম ইকবাল সতর্ক সূচনার চেষ্টা করলেও বিপদ থামাতে পারেননি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হোল্ডারের আউট সুইংয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তোলেন বিজয়। শুন্য রানেই বিজয়ের ইনিংসের ইতি ঘটান ওয়েস্ট ইন্ডিজ কাপ্তান। বিজয়ের বিদায়ে ক্রিজে নামেন সাকিব আল হাসান।
তামিম দেখেশুনে খেলে গেলেও সাকিব আল হাসান রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে বোলারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই বৃষ্টি বাঁধায় ২০ মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ করতে হয়।
বৃষ্টির পরে খেলতে নেমে যেন আরও বেশি সতর্ক সাকিব-তামিম। আস্তে আস্তে এগোতে থাকেন তারা। পাওয়ার প্লে তে বেশ কিছু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। ব্যক্তিগত ১৭ রানে তামিমের ক্যাচ মিস করেছেন শট অঞ্চলে থাকা উইন্ডিজ ফিল্ডার অ্যাশ্লে নার্স।
এরপরে তামিম যখন ২২ রানে ছিলেন তখন অ্যাশ্লে নার্সের স্পিন বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তামিম। সেই ক্যাচটি উইকেটরক্ষক শাই হোপের হাঁটু ছুঁয়ে ক্রিস গেইলের হাতের নাগালে গেলেও দুজনের কেউই তা ধরতে পারেননি। তার পরের ওভারে সাকিবের আরেকটি ক্যাচ মিস (স্লিপে) করেন গেইল।
এছাড়া সাকিব আল হাসান অনেকগুলো বল খেলে ফেললেও উইকেটে ভালোভাবে থিতু হতে সময় নিচ্ছেন। তিন বার বল তার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে লাগতে চেয়েছিল।
তবে এতো বাঁধার পরেও ১৫ ওভারে ৫১ রান তুলতে সমর্থ হয় সাকিব-তামিম। দুজনের ৫০ রানের জুটি তৈরি হয় ১৫ ওভারের মধ্যেই। এরপর ধীরে সুস্থে ২০০ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। ৯৭ রানের মাথায় সাকিব শতক না পাওয়ার হতাশায় পুড়লেও তামিম ক্যারিয়ারের ১০তম শতক হাকান। সাকিবের পর সাব্বিরও ড্রেসিং রুমের পথ ধরলে মুশফিক ক্রিজে আসেন। তার ব্যাটিং তান্ডবে বাংলাদেশ বড় রানের পুজিঁ গড়ে। ১১ বলে ৩০ রানের টর্নেডো ইনিংস উপহার দেন।
স্কোরকার্ডঃ
বাংলাদেশ ইনিংসঃ ২৭৯/৪
ওভারঃ ৫০
তামিম ১৩০,সাকিব ৯৭,মুশফিক ৩০ রান
বিশু ৫২/২, হোল্ডার ৪৭/১
ওভারঃ ৫০
ওয়েস্ট ইন্ডিস ইনিংসঃ ১৩১/৯
হ্যাটমেয়ার ৫২, গেইল ৪০
মাশরাফি ৩৭/৪, মুশটাফিজুর ৩৫/২
ফলঃ বাংলাদেশ ৪৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরাঃ তামিম ইকবাল।
No comments: