Header Ads

Breaking News
recent

কক্সবাজারে জন বিস্ফোরন, ২০ মানে লক্ষাধিক শিশুর জন্ম!




জন্মনিয়ন্ত্রণকে তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলিতে তরতরিয়ে বেড়েই চলেছে শিশুর সংখ্যা৷ উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলিতে আশ্রিতা রোহিঙ্গা মহিলাদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে জন্মদান। সূত্রের তথ্যানুযায়ী, উচ্চ জন্মহারের ফলে গত ২০ মাসে ক্যাম্পগুলিতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে লক্ষাধিক শিশু। যা চিন্তা বাড়িয়েছে বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের৷ আশঙ্কা, এখনই রোহিঙ্গাদের জন্মহার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে দেশে।
উল্লেখ্য ২০১৭- ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী তিন মাসে মায়ানমারে সেনা নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১০ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার গর্ভবতী মহিলা। কিন্তু আশ্রয় শিবিরে উদ্বাস্তু জীবনে থেকেও থেমে যায়নি বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান। ফলে গত ২০ মাসে নতুন করে বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছে প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শিশু৷ সন্তানসম্ভবা আরও অন্তত ২০ হাজার মহিলা। ফলে বিষয়টি নিয়ে প্রবল উদ্বেগ আতঙ্কে বাংলাদেশ প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, যে হারে রোহিঙ্গা শিশুর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আগামিদিনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। যেভাবেই হোক,  রোহিঙ্গা মহিলা পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে অচিরেই প্রাকৃতিক বৈচিত্রের জেলা কক্সবাজারে জনবিষ্ফোরণ ঘটবে।
সমীক্ষা বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলিতে প্রতিদিন গড়ে জন্ম নিচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ জন শিশু। বিপুল এই জনবিস্ফোরণের কারণে রোহিঙ্গাদের পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসিনা প্রশাসন। এবং ক্রমাগত অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা৷ যা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের। কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ প্রত্যাবাসন কমিটির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরি বলেন, ‘‘আমরা আতঙ্কে রয়েছি। রাতে ঘুম হয় না ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। পাহাড়-পর্বত ফসলি জমি সব রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গিয়েছে। দিনের পর দিন তাদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি তাদের অপরাধের মাত্রাও বাড়ছে।’’
টেকনাফ ২১ নম্বর ক্যাম্পে কর্মরত ডা. আয়েশা কবির বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা যুবতীদের মধ্যে গর্ভধারণের প্রবণতা অনেক বেশি। আমার দেখা, ২০ বছরের একজন রোহিঙ্গা নারীর তিনটি করে সন্তান রয়েছে। কিছু ধর্মীয় বার্তাকে পুঁজি করে তারা আরও বেশি সন্তান জন্ম দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। পরিবার-পরিকল্পনার কথা বললেও তারা রাজি হয় না। বরং ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। সব মিলিয়ে আরও জটিল হয়ে উঠছে শরণার্থী সমস্যা।’’ কক্সবাজার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার তিনটি পদ্ধতির মেনে চলছে৷ এক, তিন মাস পর পর ইনজেকশন প্রয়োগ৷ জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি কনডম। এজন্য সাতটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

No comments:

Powered by Blogger.